পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধি :
করোনার আতঙ্কে আতঙ্কিত সমগ্র জাতি। লক ডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সমগ্র বাংলাদেশ সহ সকল উপজেলার মধ্যে একটা বাড়তি হতাশা সহ অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। সরকারের সদিচ্ছার কারণেই মুহুর্তের মধ্যে সরকারি সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে।মাননীয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ত্রাণ সামগ্রীর পরিমাণ সামান্য হলেও জেলার মেয়র আলহাজ্ব এম হাবিবুর রহমান মালেক, এম পি শেখ এ্যানি রহমান ও পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ এ কে এম আউয়াল মহোদয়ের ত্রাণ সামগ্রী প্রশংসার দাবী রাখে। পাশাপাশি জেলা বি এন পির নেতা মোঃ ফকরুল আলম ও ব্যারিষ্টার এম সরোয়ারও বেশ এগিয়ে।
এদিকে স্বল্প পরিশরে স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের আউরিয়ার বাসিন্দা আঃ মালেকের ছেলে মোঃ ইসমাইল ত্রাণ বিতরণে সক্রিয়। উদীয়মান সমাজ সেবক হয়ে শত অভাবের মধ্যেও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ইতিমধ্যে দারুণ চমক সৃষ্টি করে আউরিয়ার ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যে । সমাজের বিত্তশালীরা যেখানে চুপশে আছে প্রথম থেকেই । স্থানীয় বি এন পির সভাপতি মোঃ ফকরুল আলম ইতিমধ্যে করোনার লক ডাউনের কঠিন দুঃসময়ে প্রায় দুই হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহিদ উদ্দিন মন্থর গতিতে আগাচ্ছে। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ না করলেও অসহায় মানুষের পাশে নগত টাকা দিতে ভুল হচ্ছে না। অনুরূপ ভাবে পৌর বি এন পির সভাপতি ও সাবেক মেয়রও নগত টাকা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে। তবে সদর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ ইতিমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। অবশ্য নান্দুহারের বাসিন্দা উপজেলা বি এন পির নেতা কাজী তৌহিদুল ইসলামও জাতির কঠিন দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। করোনার আতঙ্কে এলাকার চরম সংকট মুহূর্তে স্থানীয় বি এন পির শীর্ষ নেতাদের কার্যক্রম তুলনামূলক কম। অপর দিকে স্থানীয় সরকার দলীয় শীর্ষ নেতারা তুলনামূলক পিছিয়ে । গত দশ বছরের শীর্ষ নেতারা আহমরি তেমন কিছু করতেছে না। আর এ কারণে দারুণ বিতর্কিত হচ্ছে বেশীর ভাগ শীর্ষ নেতারা । অথচ মধ্য বিত্ত পরিবারের সন্তান মোঃ ইসমাইল সদর ইউনিয়নের আউরিয়া গ্রামের ৭ নং ওয়ার্ডের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে ইতিমধ্যে সাহসীকতার পরিচয় দেয় সর্ব মহলে।
এ ব্যাপারে তরুণ সমাজ সেবক মোঃ ইসমাইল জেলার ও উপজেলার গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আসলে বাল্যকাল থেকেই আমি অভাব দেখেছি। শত সংগ্রাম করে জীবন জীবিকার জন্য আজও কঠিন সংগ্রাম করি। জাতির মহা সংকট মুহূর্তে আমি ক্ষুদ্র পরিসরে মানুষের পাশে দাঁডাতে চাই। বিশ্ব সহ সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে করোনার আতঙ্কে সকলেই আতঙ্কিত। লক ডাউনের সময়ে আমাদের এলাকায় একটা অভাব সহ হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। আমার মন থেকে জাগ্রত হওয়া স্বপ্ন পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি ইতিমধ্যে । মিডিয়ার আর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আসলে আমি গরীব ঘরের সন্তান হয়ে সমর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসছি এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে। সমাজের ধণীরা সহ শিল্পপতিদের জাতীর দুঃসময়ে এগিয়ে আশা উচিত। সর্বশেষ তথ্য মতে উপজেলা পর্যায়ে এখন পর্যন্ত হাতে গোনা দু একটি এন জি ও সহ নাম মাত্র কিছু লোক এগিয়ে আসছে। রাজনৈতিক নেতাদেরও এগিয়ে আশা উচিত বলে সুশীল সমাজের লোকজনরা মনে করেন
Leave a Reply